গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। তবে সম্প্রতি জরিপে দেখা গেছে, ইমরান খান ও তার দল জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। গত ৯ মে আদালত প্রাঙ্গন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাকে জামিন দেয় নিম্ন আদালত। ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দুদিন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে তার সমর্থকরা। এমনকি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ইমরান খানের দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার শুরু করে সরকার। তবে ইমরান খান দাবি করেছেন, ক্যান্টনমেন্টে যারা হামলা চালিয়েছে তারা পিটিআইয়ের সমর্থক নয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পিটিআইয়ের নেতা ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, সামরিক বাহিনী পরবর্তী নির্বাচনে তার দলের বিজয় ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেছেন।
খান তার সমর্থকদের গ্রেপ্তারের জন্য সরকার এবং সেনাবাহিনীর চাপের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এর মাধ্যমে অক্টোবরের মাঝামাঝি হতে যাওয়া ভোটের আগে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে ‘চূর্ণ’ করতে চাইছে।
পিটিআই নির্বাচনে জিততে পারবে না নিশ্চিত হওয়ার পরই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘এর সবই নির্ভর করছে সামরিক বাহিনীর অনুভূতির উপর যে, পিটিআই আর নির্বাচনে জিততে পারবে না। তারা নিশ্চিত হলেই সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।’