পদ্মা সেতুর ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ

পদ্মা সেতুর ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ

নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেতু বিভাগের সচিব ও নির্বাহী পরিচালক মো. মনজুর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের নিকট ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৯ টাকা  পরিশোধ করেন।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব, সচিববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩২,৬০৫.৫২ কোটি টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। 

গত ২৬ জুলাই ২০২২ তারিখ সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণচুক্তি অনুযায়ী এক শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ৪টি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসলে সর্বমোট ৩৬,৩৯৩.৯৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে। এছাড়া, সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ২টি ঋণ চুক্তির আওতায় দুই শতাংশ সুদে মোট ১,৭৪,৫৩,০০০- Special Drawing Right (SDR) ঋণ নেওয়া হয়েছে। যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদ-আসলসহ মোট ২,৮০,৯৯,৩৩০ SDR পরিশোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ১ম ও ২য় কিস্তি বাবদ মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রথম বছরে সর্বমোট ৬৩২,৯৩,৩৬,৬১৪২ টাকা পরিশোধ করা হল।

চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত ৭৭৯,৭৫, ৮৭,০০০  টাকার টোল আদায় হয়েছে।

Check Also

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬

রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *