ফেনীর সোনাগাজীতে এক ছাত্রলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। এ সময় আহত ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাই ও এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়েছেন অভিযুক্তরা।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের বাঁশতলা নামক স্থানে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন মাস্টার ও মো. নাঈম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয় (২২), তাঁর ভাই নয়ন উদ্দিন চৌধুরী (১০) ও যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন (৪০)। হৃদয় ও নয়নকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং মোশারফ হোসেনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রধান অভিযুক্তরা হলেন চরডুব্বা গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে যুবলীগকর্মী আরিফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় গতকাল রবিবার মামলা করেছেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে আরিফ হোসেন ও তাঁর ভাই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-২২ জন কর্মী দলবদ্ধ হয়ে ইফরান হোসেন নামের এক দোকান কর্মচারীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে যান। এ সময় যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। তিনি হামলাকারীদের সামনে পড়ে তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। তখন যুবলীগকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালান। তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয়ের ওপরও হামলা চালান এবং পায়ের রগ কেটে দেন। হৃদয়ের আর্তচিৎকারে তাঁর ছোট ভাই নয়ন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন আরিফ হোসেন, তাঁর ভাই সাইফুল ইসলাম, নেজাম উদ্দিন মাস্টার, মো. নাঈম, রিফাত, অন্তর, আরাফাত, মেজবাহ, রাহাত, মো. আরমান, আমজাদ হোসেন, মো. হায়দার, মো. মিরাজ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান এ ঘটনায় কয়েকজন আহত ও মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হিরণ বলেন, ‘দুই গ্রুপেই আমাদের দলের লোকজন। তুচ্ছ ঘটনায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।